অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় আমি আমার সাধ্যমতো প্রতিবাদ করে এসেছি। তবে আজকে একটা প্রশ্ন সবসময় মনে আসে এত বৃহৎ সমাজে এত বিভিন্নতার মাঝে অন্যায় থাকবে না এটা কি কখনো হতে পারে ? তাই এই আধুনিক সমাজে সভ্যতার এই পর্যায়ে গিয়ে কোনো অন্যায় ঘটে যাবার পর তার প্রতিবাদ করাটা একটা দায়সারা বা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না আমার। আচ্ছা ভাবুন তো যদি ঐ অন্যায়টাই না ঘটতো বা যে ব্যাক্তি অন্যায়টা করছে সে যদি আইনের ভয়ে অন্যায়টা না করতো অথবা ওই ব্যক্তির শিক্ষা বা সংস্কার ওই ব্যক্তিকে অন্যায়টা করতে বাধাদান করতো তা হলে কি আজ আর এই ঘটা করে প্রতিবাদ করার প্রয়োজন পড়ত ? তাই কঠিন থেকে কঠিনতর আইন প্রণয়নের সাথে সমাজের প্রতিটা স্তরে নৈতিক শিক্ষা, সংস্কার এবং শালীনতা আনতে হবে, না হলে কোনো আইন এই অন্যায় বা অপরাধকে আটকানোর জন্য যথেষ্ট নয়, এই জন্যই আমাদের উচিত অন্যায় বা অপরাধের কারনটাকে খুঁজে সেটাকে স্বমূলে উৎক্ষেপ করা। তাই বন্ধু আজ আবার সময় এসেছে সমাজকে সংস্কার করার, দ্রুততার সঙ্গে সমাজের সর্বত্রে awareness program শুরু করার, সরকারি শিক্ষানীতিতে বদল এনে দ্রুত বুনিয়াদি স্তর থেকে নীতি শিক্ষা এবং সংস্কার এর ওপর জোর দেওয়া হোক, শিক্ষাক্ষেত্রে sex education এর ওপর আলোকপাত করা হোক, এবং সর্বোপরি সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ঘৃন্য অপরাধের জন্য কঠিনতর শাস্তির বিধান আনা হোক। এই সবকটা ক্ষেত্রে যেদিন আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারবো সেই দিন আর ওই ঘটাকরে প্রতিবাদ করার প্রয়োজন পড়বে না। যেহেতু আজ social media আমাদের সমাজকে বিশাল অংশে নিয়ন্ত্রণ করে তাই এই awareness program এর শুরুটা এখান থেকেই করলাম, আমার সাধ্য মতো। আজকের পর থেকে আমি আজীবন আমার Facebook, Twitter, Instagram এর প্রোফাইল পিকচারে কোন নিজের ছবি দেব না।
একটা কথা জেনে রাখবেন- "উলঙ্গ সমাজ এবং সমাজব্যবস্থাকে ধর্ষণ করার লোকের অভাব এই সমাজে নাই, তাই চলুন সকলে মিলে সমাজকে বস্ত্র পরিধানের একটা সুব্যবস্থা করি এবং একটা সুন্দর, নিরাপদ সমাজ গড়েতুলি।"
---অপরেশ সিংহ রায়।
#awarenessprogram, #apareshsingharoy